,

স্ত্রীর মার খেয়ে থানায় এসে অভিযোগ করলেন স্বামী

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন এক স্বামী। শনিবার (২৩ জুলাই) পঞ্চগড় সদর থানায় এ অভিযোগ করেছেন স্বামী পৌর এলাকার রাজনগর গ্রামের সাঈদ হোসেন দিদার।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী তাসমিনা আক্তার তামান্না স্বামী দিদারকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিদারের স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন মিলে তাকে ঘরের ভেতরে আটকে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। পরে ট্রাংকে রাখা চার লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান তারা। দিদার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ওই কোম্পানির কিস্তির টাকা ট্রাংকে রেখেছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তিনি।

অভিযোগে আরও জানা যায়, স্ত্রীর চাপে পরে নিজের বাড়িতে না থেকে সদর উপজেলার জগদল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ৪ বছরের এক সন্তানসহ বসবাস করছেন তিনি। ঘটনার দিন তার ছেলে মোবাইলে ভিডিও দেখছিল। ভিডিও না দেখতে তিনি ছেলেকে ধমক দেন। এ নিয়ে প্রথমে স্ত্রী তাকে মারধোর শুরু করেন। এ সময় তার শাশুড়িও মারধর শুরু করেন। পরে স্ত্রী তার বাবা এবং ভাইকে ফোন করেন। একটু পরেই শ্বশুর এবং শ্যালক তার বাড়িতে আসেন। তারা দুজনে ঘরের ভেতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। তারা সবাই মিলে দিদারকে ধরে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন এবং লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। দিদারের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং তারা উদ্ধার করে তাকে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক নকিবুল প্রধান এ্যাপোলো জানান, চিৎকার শুনে আমি ছুটে যাই। দিদারের শ্বশুর আমাকে থাকতে দেয়নি। তিনি আমাকে পারিবারিক ঘটনা বলে জানান।

স্ত্রী তাসমিনা জানান, দিদার আমাকে এবং আমার মাকে মারধোর করেছে। তখন আমি বাবা এবং ভাইকে খবর দেই। তারা আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। টাকা পয়সা কোনও কিছুই নিয়ে আসেনি।

শ্বশুর তবিবর রহমান জানান, মারধরের ঘটনা সত্যি নয়। ওই ছেলে আমার মেয়েকে সবসময় নির্যাতন করতো। তাই মেয়েকে নিয়ে এসেছি।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর